শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
প্রথম আলো : ইকবাল হোসেন নামের ব্যক্তিটি কারও প্ররোচনায় কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখেছিলেন বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এখন পলাতক ইকবাল হোসেনকে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তাঁকে ধরতে পারলেই সবকিছু পরিষ্কার হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা–সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি যে লোকটি করেছেন, তাঁকে ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি মাজারের সঙ্গের মসজিদে দিবাগত রাত ৩টার দিকে গিয়েছিলেন। একবার, দুইবার নয় তিনবার গিয়েছেন।
ওই মসজিদের দুজন খাদেম ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে ইকবাল কথা বলেছেন। মন্ত্রী বলেন ‘আমাদের অভিজ্ঞ টিম দীর্ঘক্ষণ এটা বিশ্লেষণ করে সুনিশ্চিত হয়েছে যে এই ব্যক্তিটি (ইকবাল) মসজিদ থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ এনে রেখেছেন, সেটা তাঁরই কর্ম। রেখে তিনি প্রতিমার গদাটি সেখান থেকে কাঁধে করে নিয়ে এসেছেন।’
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, কাজটি পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। দুই থেকে তিনবার যাওয়া–আসার মধ্যে তিনি এই কর্মটি শেষ করেছেন। কাজেই এটি নির্দেশিত হয়ে কিংবা কারও প্ররোচনা ছাড়া এটি করেছেন বলে তাঁরা এখনো মনে করেন না। তাঁকে ধরতে পারলে বাকি সব উদ্ধার হবে বলে মন্ত্রী বিশ্বাস করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইকবাল হোসেন মোবাইল ব্যবহার করছেন না। যাঁরা তাঁকে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরাও তাঁকে লুকিয়ে রাখতে পারেন। তবে বের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply